এবার উজানের ঢল আর বৃষ্টিতে ডুবেছে দেশের বিস্তীর্ণ এলাকা। বানের পানিতে তলিয়েছে ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলা। বিপৎসীমার উপরে রয়েছে, ৭ নদীর পানি। ফেনীর মুহুরি, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীরক্ষা বাঁধের ৩০টি পয়েন্ট ধসে গেছে।
এদিকে প্রতিবেশী দেশের উজানের ঢল আছড়ে পড়ছে বাংলাদেশে। স্রোতের তোড়ে বাঁধ ভেঙে ভাসছে গ্রামের পর গ্রাম। গত ১২ দিন আগে ফেনীর পরশুরাম-ফুলগাজী উপজেলায় মুহুরি, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদী বাঁধের ২৬টি পয়েন্টে ভাঙন দেখা দেয়। যা দিয়ে পানি ঢোকে লোকালয়ে। কদিন না যেতেই একই বাঁধের ফের ৪টি অংশ ভেঙে পড়েছে। এতে তলিয়ে গেছে দুই উপজেলার ৮০টি গ্রাম।
ত্রাণ তৎপরতায় অংশ নিতে ইতোমধ্যে নেমে পড়েছে বেশকিছু স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান। দেশের এমন পরিস্থিতিতে বসে থাকতে পারেননি বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার তাওহীদ হৃদয়। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ফেসবুকে আহ্বান জানিয়েছেন বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে। এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলাদেশে এতো পানি কোথায় থেকে এলো তা জানতে চেয়ে পোস্ট দিয়েছেন জাতীয় দলের পেসার রুবেল হোসাইন।
আজ বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুপুরে রুবেল নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে লেখেন, এত পানি কোথা থেকে এলো, কেনই বা গভীর রাতে সব গেট খুলে দিলো। এই অসহায় গরিব দেশ কি এই প্রশ্নের উত্তর কোনদিনই জানবে না?
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় দলের ক্রিকেটার তাওহীদ হৃদয় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়ে লেখেন, কি লিখব? কি লেখা উচিৎ? নিজেকে অসহায় মনে হয় যখন সরাসরি দেশের কোনো দূর্যোগে পাশে থাকতে পারি না।
বন্ধুদের পাঠিয়েছি, ওরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করবে, তবে আমার কষ্ট লাগছে যতটুকুই করা হবে তা কি যথেষ্ট?? তবুও করতে হবে, সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। শুধু এখন না, পানি নেমে যাবার পর পর্যন্ত বন্যার্তদের পাশে থাকতে হবে। নৌকা, ঔষধ, বিশুদ্ধ পানি, শুকনা খাবার যে যেভাবে পারেন।
তিনি আরও লেখেন, ব্যাপার না। আমরা জন্ম থেকেই সংগ্রাম করতে জানি, এবারও করবো। আল্লাহ এ যাত্রায়ও আমাদের রক্ষা করবেন ইনশাল্লাহ। দূর্যোগ ঘটে গেছে, এখন পুরো বাংলাদেশ মিলে তা মোকাবিলা করার সময়। বসে থাকার সুযোগ নেই, সবাই নিজের সাধ্যমতো এগিয়ে আসি।